কেমন আছো? কেমন কাটছে দিনকাল? আশা করি ভালোই আছো, ভালোই কাটছে সময়। আল্লাহর কৃপায় আমিও ভালো আছি। আলামদুলিল্লাহ! এখন রাত প্রায় বারোটা ছুঁই ছুঁই। বাড়ির আঙ্গিনা, মাঠ-ঘাট সবকিছু নিরব। অন্ধকার এই রাতে জাগ্রত কেবল কিছু জোনাকী আর আমি।
বালিশে মাথা রাখছিলাম। শরীরটা এলিয়ে দিয়েছিলাম নিঁদ শয্যায়। কিন্তু ঘুম ধরা দিচ্ছে না। চোখে ঘুম না নামার কারণ মস্তিষ্ক স্থির না। মনন আর মানসে ভাবনারা ঝড় তুলছে। চোখে যেন ক্লান্তি আর বিরাম নেসেছে। কেন? পশ্নটার উত্তর হয়তো কিছুটা বোধ হয়েছে_ আর যদি না হয়, তাহলে শোনো…
উত্তরের আগে কিছু কথা বলি; পত্রটা পড়ে পড়ে আত্মস্থ করিও, আর অন্তরটাকে শীলতা ও নরম রাখিও, ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে প্রত্যক্ষ করিও। এবার মূল কথায় যাই। ‘কেন?’ এর উত্তরে আসি। আসলে পরিভাষায় উত্তরটা দিতে আমি অক্ষম, তাই বিশ্লেষণ করে দিচ্ছি। কারণ, আমার তেমন বাক্যশৈলিতা নেই আর উপলব্ধি জ্ঞানটাও কম। অন্তরটা নরম করেছ? ক্ষমার নযর আর দয়ার্দ হয়েছ? হয়ে তারপর উত্তরটা পড়। (চিঠিতে ভুল হলে ক্ষমা কিন্তু করতে হবে।)
উত্তরঃ
এমন নিশিতে মাথা বালিশে রাখলে কিছু কথা আর কিছু কাহিনী চোখের পর্দায় স্পষ্ট হয়। কিছু বিষাদময় স্মৃতি, মানুষের থেকে পাওয়া প্রতারণা, নরম কথার কঠোর প্রতিক্রিয়া, এসব কিছুই সচরাচর ভাবনা উদিত হয়। কিন্তু আজ ভিন্ন রকম ভাবনা। আজকের ভাবনাটা পুরোটা তোমাকে নিয়ে। ‘তোমাকে নিয়ে’ বলতে হতে হয়তো ফিকফিক করে হাসতেছ। কিন্তু সত্য! এই অর্থের মোহ ছেড়ে আর সার্থকতাকে ডিঙিয়ে একজন লিপ্সুতা ছাড়া আর নিঃস্বার্থ সম্পর্ক খোঁজা বা বানানো বড় প্রশংসনীয়। যদি সমাজের জাগ্রত জ্ঞান থাকে!
যেমনিভাবে চেয়েছিলে তুমি। তুমি চেয়েছিলে, কারোর সাথে একটা নিঃস্বার্থ সম্পর্ক পাতাতে। যে সম্পর্কে মিশে থাকবে অপার্থিব মহব্বত আর কিছু উৎসর্গ। আর এমন সম্পর্ক গড়ার আগ্রহ হৃদয়ে নিয়ে প্রায় অর্ধযুগ পাড়ি দিচ্ছি। কিন্তু মিলে না এমন একটা মানুষ। বলা যায় এটা একটা স্বপ্নই ছিল। কথা লম্বা করছি না আর।
সর্বোপরি তোমার সাথে আমার সম্পর্ক করার একটা প্রয়াস ছিল। বলা যায় হয়েও গিয়েছিল। কিন্তু শেষের দিকে তোমার রাগ বা অভিমান এতো বেশি হয়েছিল যা সংবরণ অসাধ্য হয়েছিল। যদিও চেষ্টা করলে সংবরণ করতে পারতাম। তবে জ্ঞান কম তো, তাই উপস্থিতি জ্ঞান কাটিয়ে উঠতে মাঝেমধ্যে পড়ে যাই। ঠিক যেমনভাবে হয়েছে তোমার বেলায়। রাগে সেদিন রাতে এসএমএসে এমন ভাবে ক্ষমা চেয়েছিলাম যেন একটা সম্পর্কের বিচ্ছেদ হচ্ছে। এটা ছিল আমার সবচেয়ে বড় মরত্নেক একটা ভুল।
ক্ষমা করে দেওয়া মহত্বের কাজ। আশা করি একজন সমঝদার হিসেবে আমাকে ক্ষমা করে দিবা। আমি চাই তোমার সাথে আমার অপার্থিব মহব্বতটা তৈরি হোক। সম্পর্ক পয়দা হোক; যা সমাজে বিরল। আবারো বলছি; যার সমাজে বিরল। (বিঃ দ্রঃ উওরটা গল্পের মতো হয়ে গেল, ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখিও)
আমাকেই দিও ওই বন্ধু নামক গোলাপ ফুল,
যতনে রাখিবো আমি, হবে না আর কখনো ভুল!
ইতি
প্রয়াস …….