ছফওয়ান আল মুসাইব

হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল

হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল

কিশোর বয়স থেকে তারুণ্যে পা রাখার সময়টা এক অদ্ভুত আলো-আঁধারের সন্ধিক্ষণ। এই সময়ে একজন তরুণের মনে জমে ওঠে অসংখ্য প্রশ্ন, দ্বিধা আর অব্যক্ত যন্ত্রণা। চারপাশের পৃথিবী, পরিবারের প্রত্যাশা আর নিজের ভেতরের তুমুল পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে গিয়ে অনেকেই দিশেহারা বোধ করে। ঠিক এই সংকটময় মুহূর্তে একজন বিশ্বস্ত বন্ধুর মতো নির্মল বাতাস হয়ে পথ দেখাতে হাজির হয়েছেন লেখক সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর, তাঁর ‘‘হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল’’ বইটি নিয়ে। সত্যি বলতে, এটি কোনো গতানুগতিক নীতিকথার সংকলন নয়, বরং লেখকের নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, গভীর চিন্তা আর তরুণদের প্রতি নিখাদ ভালোবাসা থেকে উৎসারিত এক আন্তরিক কথামালা। লেখক এই বইয়ে সেই সব কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীর মনের কষ্টগুলোকে নিজের করে তুলে ধরেছেন, যারা ব্যস্ত পৃথিবীর আড়ালে নীরবে কাঁদে। আত্মপরিচয়ের সংকট থেকে শুরু করে বন্ধুত্বের টানাপোড়েন, পরিবারের চাপ, স্বপ্নের অপমৃত্যু আর জীবনের প্রকৃত সুখের সন্ধান—এর প্রতিটি বিষয়কে তিনি সহজ, ঘরোয়া ভাষায় পাঠকের সামনে মেলে ধরেছেন। বইটি মূলত তরুণদের ভেতরের অসীম শক্তিকে চিনিয়ে দিয়ে তাদের বলতে চায়—‘‘তুমি সাধারণ নও, তুমি অসামান্য, অসাধারণ’’; তুমিই পারো সকল দুঃখ আর বাধা জয় করে জীবনের প্রকৃত সৌন্দর্যকে আবিষ্কার করতে।

মূল বিষয়বস্তু;

‘‘হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল’’ বইটির প্রতিটি অধ্যায় যেন জীবনের এক একটি গভীর পাঠ। লেখক অত্যন্ত যত্ন সহকারে কয়েকটি প্রধান স্তম্ভের ওপর ভিত্তি করে তাঁর আলোচনা সাজিয়েছেন, যা পাঠকদের মনোজগতকে নাড়া দিতে বাধ্য।

১. আত্মপরিচয় ও মানবসত্তার অতলস্পর্শী শক্তি;
বইয়ের একেবারে শুরুতে লেখক পাঠককে তার নিজ সত্তার মুখোমুখি দাঁড় করান। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন মানুষকে ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ বা সৃষ্টির সেরা জীব বলা হয়? প্রচলিত ধারণা ছাপিয়ে তিনি বলেন, মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের মূল কারণ তার চিন্তাশক্তি। বৈজ্ঞানিক তথ্যে অনুযায়ী মানুষের মস্তিষ্কে প্রায় ৮৬ বিলিয়ন নিউরন রয়েছে, যার অপরিমেয় ক্ষমতা মানুষ খুব কমই ব্যবহার করে। তিনি বলেন, আধ্যাত্মিক সাধনা বা বিশেষ অনুশীলনের মাধ্যমে মানুষ তার এই সুপ্ত ক্ষমতাকে জাগিয়ে তুলতে পারে এবং প্রকৃতি বা বস্তুর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করাও সম্ভব। এই আলোচনার মূল উদ্দেশ্য হলো তরুণদের বোঝানো যে, তারা নিজেদের যতটা সাধারণ ভাবে, আসলে তারা ততটা সাধারণ নয়। প্রতিটি মানুষই তার ভেতরে এক ‘‘অতিমানব’’ বা ‘‘সুপারম্যান’’-এর শক্তি ধারণ করে আছে, শুধু প্রয়োজন নিজেকে চেনার এবং সেই শক্তিকে আবিষ্কার করার।

২. সুখের সন্ধান;
আধুনিক সভ্যতা যখন অর্থ, খ্যাতি আর বস্তুর পেছনে ছুটতে শেখায়, লেখক তখন এক ভিন্ন পথের সন্ধান দেন। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘‘অর্থ মানেই কি সুখ?’’ দামি গাড়ি-বাড়ি বা অর্থই সুখের একমাত্র উৎস নয়; বরং ছোট ছোট প্রাপ্তি ও সাধারণ জীবনযাপনের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সত্যিকারের আনন্দ। মানুষ মূলত দুঃখ পায় অপ্রাপ্তির জন্য, তার চাওয়া পূরণ না হওয়ার কারণে। প্রাপ্তির তালিকা ছোট করলে জীবন অনেক বেশি সুখের হয়।

৩. পরিবার, কৈশোরের সংকট ও মানসিক চাপ;
ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি,  বইটির এই পর্বটি সবচেয়ে সংবেদনশীল ও শক্তিশালী অংশ। লেখক তার কলমে এখানে পরিবারকে একজন মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষক হিসেবে অভিহিত করেছেন। নিজের ছেলেবেলায় বাবার মানিব্যাগ থেকে ২০ টাকা চুরির ঘটনা এবং পরবর্তীতে বাবার কঠোর নৈতিক শাসনের গল্প বলে তিনি দেখান, পরিবারের অনুশাসন কীভাবে একজন মানুষের চরিত্র গঠন করে । তবে, শাসনের পাশাপাশি ভালোবাসার গুরুত্বও তিনি তুলে ধরেছেন। বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের ওপর পড়াশোনার যে অমানবিক চাপ, তার এক ভয়াবহ চিত্র তিনি এখানে এঁকেছেন। পরিবার থেকে পড়ালেখার চাপ এবং পরবর্তীতে পরীক্ষায় এ-প্লাস পাবে না এই আশঙ্কায় শেফা আলমের মত অনেক শিক্ষার্থী ‘‘আব্বু, আমি জীবনযুদ্ধে যাচ্ছি… আমাকে মাফ করে দিয়ো,’’ চিরকুট লিখে আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নেয়। তবে শেফা আলমের চিরকুটটি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, আমরা আমাদের সন্তানদের কোন দিকে ঠেলে দিচ্ছি। লেখক অভিভাবকদের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, তাঁরা যেন সন্তানের বন্ধু হন, তাদের ওপর প্রত্যাশার বোঝা চাপিয়ে দিয়ে জল্লাদের ভূমিকায় অবতীর্ণ না হন। সন্তানের ‘উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ’ গড়তে গিয়ে তাদের শৈশব-কৈশোরকে হত্যা না করতে। লেখকের মতে, ভালো ফলাফলের চেয়েও একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠা অনেক বেশি জরুরি।

৪. স্বপ্ন ও স্থিরতা;
বইয়ের শেষ দিকে তরুণদের স্বপ্ন দেখতে এবং সেই স্বপ্নের পথে অবিচল থাকতে উৎসাহিত করা হয়েছে। প্রতিটি মানুষের মধ্যেই আল্লাহ কোনো না কোনো বিশেষ গুণ দিয়ে পাঠিয়েছেন; প্রয়োজন শুধু সেই গুণটিকে খুঁজে বের করা এবং তার পরিচর্যা করা। লেখক তরুণদের চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, যেকোনো কাজ, তা যতই ছোট হোক, যদি ভালোবাসা ও নিষ্ঠার সাথে করা যায়, তবে সাফল্য আসবেই। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বা হাফেজ আবদুল হকের মতো মানুষদের উদাহরণ দিয়ে তিনি দেখান, খ্যাতির পেছনে না ছুটে নিজের লক্ষ্যের প্রতি স্থির থাকলে কীভাবে কালের সাক্ষী হয়ে ওঠা যায়। কারণ অস্থিরতা তরুণদের স্বপ্নকে হত্যা করে; তাই সকল বাধা ও সমালোচনা উপেক্ষা করে নিজের লক্ষ্যের প্রতি একাগ্র থাকাই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।

৫. লেখকের পথ, প্রতিভা, সাধনা এবং আত্মজিজ্ঞাসা;
বইয়ের শেষাংশে আলোচনার মোড় গেছে এক গভীর আত্মজিজ্ঞাসার দিকে—‘‘লেখক হওয়ার জন্য জন্মগত কোন গুণ লাগে, নাকি চেষ্টা-সাধনার মাধ্যমে এটি অর্জন করা যায়?’’। লেখকের মতে, লেখালেখির ক্ষমতা মূলত একটি জন্মগত গুণ বা ঐশ্বরিক দান (লেখকসত্ত্বা)। চেষ্টা বা কর্মশালা দিয়ে হয়তো কৌশল শেখা যায়, কিন্তু সত্যিকারের লেখকসত্তা না থাকলে সেই লেখা নিষ্প্রাণ থেকে যায়। তবে এখানে এই প্রতিভাকে চূড়ান্ত বলে দাবিও করা হয়নি । কারণ এই সম্ভাবনাকে নিষ্ঠার শানপাথরে ঘষে ধারালো করে তুলতে হয়। এর জন্য নতুনদের ডায়েরি লেখার অভ্যাস এবং নিজের পছন্দের বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে লেখকের কাছে সবচেয়ে বড় শিল্প হলো ‘‘গল্প বলতে পারা’’—পুরনো পৃথিবীকে পাঠকের কাছে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করার জাদুকরী ক্ষমতা।
এরপর বইটিতে লেখক হওয়ার কিছু ভ্রান্ত পথ ও প্রচলিত ধারণার ওপর তীব্র আলোচনা-সমালোচনা করা হয়;

  • কর্মশালা ও সম্মাননার মোহ: আমাদের সমাজে দেখা যায় কিছু কর্মশালা আছে, যারা টাকা ও সনদের বিনিময়ে লেখক তৈরির নিশ্চয়তা দেয়। লেখকের ভাষায়, এসব কোর্স করে বড়জোর প্রুফ রিডার হওয়া যায়, কিন্তু সত্যিকারের লেখক হওয়া যায় না। তিনি এই ধারণাকে ‘‘বোকার স্বর্গের আদিবাসী’’ হওয়ার সাথে তুলনা করেন।
  • সস্তা বোহেমিয়ানার ফাঁদ: অতঃপর লেখক সেইসব তরুণদের কঠোরভাবে তিরস্কার করেন, যারা লেখক হওয়ার জন্য শাহবাগের আড্ডায় বিড়ি ফুঁকে বা উদ্ভট জীবনযাপনকে শিল্পের অংশ মনে করে। তবে এই লোক দেখানো বাহ্যিকতা প্রতিভাকে অঙ্কুরেই বিনাশ করে দেয়।
  • সৃজনশীলতার সলিলসমাধি: ইসলামি প্রকাশনা জগতের একটি বিশেষ প্রবণতা—মৌলিক রচনার চেয়ে অনুবাদের ওপর অতি-নির্ভরশীলতা—এটি এই অংশের সমালোচনার প্রধান লক্ষ্য। কারণ তরুণ লেখকেরা তকি উসমানি বা আলি মিয়া নদভির মতো বড় মাপের লেখকের বই অনুবাদ করেই আত্মতৃপ্তিতে ভোগেন, তখন তারা প্রকারান্তরে নিজেদের মৌলিক সৃজনশীলতার সমাধি রচনা করেন। যে তরুণ শুধু অনুবাদের হাত মকশো করে, তার হাত দিয়ে কখনো কালজয়ী মৌলিক সাহিত্য রচিত হতে পারে না।

সবশেষে, বইটিতে লেখক তাঁর নিজের লেখার দর্শন তুলে ধরেন। তিনি মনে করেন, লেখালেখি কেবল অর্থ বা সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য নয়। এটি আল্লাহর দেওয়া এক বিশেষ নেয়ামত  এবং এর সঠিক ব্যবহার করা লেখকের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক দায়িত্ব। একজন বিশ্বাসী লেখকের কলম তাই সর্বদা সত্য ও কল্যাণের পথে চালিত হবে, যার চূড়ান্ত লক্ষ্য থাকবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং ইসলামের এমন এক রূপ তুলে ধরা, যা কোনোভাবেই বিশ্বাসকে আঘাত করবে না।

বইটি কাদের জন্য;

এই বই মূলত সেই সব কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীর জন্য, যারা জীবনের নানা বাঁকে এসে হতাশ ও পথহারা বোধ করে। যারা নিজেদের মূল্য বুঝতে পারে না, মানুষের ভিড়ে একা অনুভব করে, কিংবা পরিবারের ও সমাজের চাপে নুয়ে পড়ছে—তাদের জন্য এই বই এক বন্ধুর মতো। এছাড়া, যে সকল অভিভাবক ও শিক্ষক তরুণ প্রজন্মের মানসিক জগৎকে বুঝতে চান, তাদের জন্যও বইটি পড়া আবশ্যক বলে আমি মনে করি।

বইটির ভালো দিক;

  • আন্তরিক ও হৃদয়স্পর্শী ভাষা: লেখকের লেখার ভঙ্গি এতই আন্তরিক ও সহজ, যেন মনে হবে তিনি স্বয়ং আপনার সামনে বসে, শুধুমাত্র আপনাকেই নিয়ে ঘরোয়া গল্পের ছলে জীবনের কঠিন বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করেছেন।
  • ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার বর্ণনা: লেখক এই বইটিতে নিজের জীবনের নানা ঘটনা ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন, যা বইটিকে আপনার কাছে আরও বেশি বিশ্বাসযোগ্য করে তুলবে। 
  • গভীর জীবনদর্শন: সহজ ভাষার আড়ালে লেখক জীবনের অনেক গভীর দর্শন, যেমন—আত্মশক্তি, সুখের অর্থ, ভালোবাসার ক্ষমতা ইত্যাদি বিষয়কে তুলে ধরেছেন।
  • অনুপ্রেরণামূলক বার্তা: বইটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনাকে ইতিবাচকভাবে চিন্তা করতে এবং নিজের জীবনের প্রতি আশাবাদী হতে অনুপ্রাণিত করবে।

লেখকের জীবনী;

বাংলা ভাষায় ইসলামি লেখালেখিকে মূলধারায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে যে কজন লেখকের অসামান্য অবদান রয়েছে, সালাহউদ্দিন জাহাঙ্গীর তাঁদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর অভিনব বিষয় নির্বাচন এবং প্রাঞ্জল ও সাহসী গদ্য তাকে স্বতন্ত্র পরিচয় দিয়েছে। বাবা মোঃ শওকত হোসেন সেনাবাহিনীর সদস্য হওয়ায় শৈশবে সৈনিক হওয়ার স্বপ্ন দেখলেও, মা জাহানারা বেগমের ইচ্ছায় তিনি ধামরাইয়ের একটি মাদ্রাসায় হেফজখানায় ভর্তি হন। ধামরাইয়ের সেই মাদ্রাসার বইয়ের আলমারিই তাঁর লেখক সত্তার জন্ম দেয়।

তিনি হাফেজে কুরআন, জামিয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ থেকে দাওরায়ে হাদিস এবং কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দাওয়া এন্ড ইসলামিক স্টাডিজে মাস্টার্স সম্পন্ন করে বর্তমানে এমফিল গবেষণারত। গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, ইতিহাসসহ বিবিধ বিষয়ে তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৪০টিরও বেশি, যা তাঁকে সব্যসাচী লেখকের খ্যাতি দিয়েছে। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের ইসলামিক ইতিহাস এবং ঐতিহাসিক উপন্যাস নিয়ে কাজ করছেন। ইসলামি সাহিত্যে অনন্য অবদানের জন্য ২০২২ সালে তিনি ‘রকমারি বেস্টসেলার অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন।

ব্যক্তিগত রেটিং;

ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে, এই বইটিকে কোনো সংখ্যা বা রেটিংয়ের ফ্রেমে বাঁধা কঠিন। শুরুর দেখেই বলেছি, এটি একটি বই হিসেবে গণনা করলে ভুল হবে, বরং অস্থির সময়ে তরুণ প্রজন্মের জন্য এক আত্মিক নিরাময়। লেখক সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর কোনো গুরুগম্ভীর উপদেশ দেননি, বরং একজন বড় ভাই বা বন্ধুর মতো পাঠকের পাশে বসেছেন, তাঁর হৃদয়ের কথাগুলো তুলে ধরেছেন অকৃত্রিম মমতায়। আমি মনে করি, বইটির প্রতিটি শব্দ পাঠকের মনের গভীরে প্রবেশ করবে এবং তাকে নিজের সম্পর্কে, জীবন সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে শেখাতে বাধ্য করবে।

এর ভাষার সারল্য, বিষয়বস্তুর গভীরতা এবং লেখকের আন্তরিক প্রকাশভঙ্গি—সবকিছু মিলিয়ে এটি এক কথায় অনবদ্য। তাই সবদিক বিবেচনা করে, এই বইটিকে ৫ এর মধ্যে ৫ রেটিং দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। নিঃসন্দেহে বইটি আপনার ভাবনার জগতে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে বাধ্য, যা আপনার জীবনের প্রতিটি কঠিন মুহূর্তে এক বাতিঘর হয়ে পথ দেখাতে সাহায্য করবে। 

‘‘হৃদয়ের কথা বলিতে ব্যাকুল’’ বইটি প্রকাশ করেছে স্বনামধন্য প্রকাশনা সংস্থা ‘নবপ্রকাশ’। বইটি সংগ্রহ করতে চাইলে আপনার নিকটস্থ লাইব্রেরিতে খোঁজ নিতে পারেন। এছাড়া, দেশের অন্যতম অনলাইন বুকশপ রকমারি-সহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও বইটি পাওয়া যাচ্ছে। সর্বশেষ অফার সম্পর্কে জানতে বা সংগ্রহ করতে লিংকে ক্লিক করুন: https://rkmri.co/elpe5IASTA2e/

আমার সম্পর্কে

আমি ছফওয়ান আল মুসাইব, একজন 3D আর্টিস্ট, ভিডিও এডিটর। 3D আর্টের প্রতি গভীর ভালোবাসা থেকেই আমি আমার ক্যারিয়ার শুরু করি, এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের দক্ষতা গড়ে তুলেছি। পেশাগত জীবনে সাফল্যের পাশাপাশি আমি গল্প লেখা এবং ভ্রমণে দারুণ আগ্রহী। শখের বসে মাঝে মাঝে হাতে কলম তুলে নিই এবং আমার মনের ভাবনা ও অনুভূতিগুলোকে শব্দে রূপ দিই। আমার লেখা গল্পগুলো বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে, যা অনেক পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।

জনপ্রিয় পোস্ট

সাম্প্রতিক পোস্ট