ছফওয়ান আল মুসাইব

যাদের থেকে দূরে থাকবেন

যাদের থেকে দূরে থাকবেন

আমাদের চারপাশে অনেক রকমের মানুষ থাকে। কেউ ভালোবাসে, কেউ পাশে থাকে, আবার কেউ এমনও থাকে যাদের কারণে জীবনটা হয়ে ওঠে বিষিয়ে যাওয়া। কিছু মানুষ আছে যারা বাইরে থেকে ভালো মনে হয়, কিন্তু ভেতরে ভেতরে তারা আপনার শান্তি নষ্ট করে দেয়। এই ধরনের মানুষদের চেনা আর এড়িয়ে চলা খুবই দরকার।

এই লেখায় আমরা এমন কিছু মানুষের ধরন নিয়ে কথা বলবো, যারা হয়তো আপনার কাছের, কিন্তু আসলে আপনার মানসিক শান্তির ক্ষতি করছে। চলুন দেখে নিই কারা তারা এবং কীভাবে তাদের চিনবেন।

আবেগ নিয়ে খেলা; 
মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার জন্য যারা আবেগ নিয়ে খেলে, যাকে বলা যেতে পারে আবেগের পরজীবী। তাদের থেকে দূরে থাকাই ভালো! এই ধরনের মানুষ নিজেকে খুবই ভঙ্গুরভাবে উপস্থাপন করে অন্যের সহানুভূতি যোগাড় করবে। তারপর নিজের কাজ হয়ে গেলে সেই মানুষকে অগ্রাহ্য করবে।

🔸 কীভাবে বুঝবেন;
  • সবসময় নিজেকে দুর্বল দেখায়
  • দুঃখের গল্প বলে সহানুভূতি নেয়
  • কাজ ফুরালেই আপনাকে ভুলে যাবে

এই ধরনের মানুষদের থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন। কারণ তারা সম্পর্ক নয়, চায় আপনার আবেগ আর শক্তি শুষে নিতে।

পরশ্রীকাতর মানুষ;
হিংসা মানুষের মধ্যে থাকতেই পারে। সাধারণ সম্পর্কে হিংসা করা অনেক ক্ষেত্রেই ভালোবাসার লক্ষণ হিসেবে দেখা হয়। তবে সেই হিংসার কারণে যদি কেউ আপনাকে কষ্ট দেয়, কোনো কাজ করতে বাধা দেয় বা প্রতিযোগিতায় নামে__ তবে সেই মানুষ থেকে দূরে থাকুন।
প্রচণ্ড হিংসুটে মানুষ কখনও স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে না। যখন ভালোবাসার সম্পর্কে একে অপরের প্রতি সাহায্য করার মনোভাব না থাকে, দু’জন দু’জনের ভার বহন করার বিষয় না থাকে__ সেখান থেকে অবশ্যই সরে আসা উচিত, নিজের ভালোর জন্য!

🔸 চেনার উপায়;
  • আপনার উন্নতি সহ্য করতে পারে না
  • প্রতিদিন ছোট ছোট কথায় খোঁচা দেয়
  • সবকিছুতে প্রতিযোগিতা খোঁজে

উদাসীন মানুষ;
কখনো কখনো একটি সম্পর্কে একজন মানুষ সব কিছুই দিয়ে যায়—ভালোবাসা, সময়, যত্ন, মনোযোগ। কিন্তু অন্যপক্ষ যদি এসবের কদর না করে, শুধু গ্রহণ করেই চলে, তাহলে সেই সম্পর্কটা ধীরে ধীরে ভারসাম্য হারায়।

🔸 কীভাবে বুঝবেন;
  • আপনি সবসময় খেয়াল রাখছেন, কিন্তু সে খেয়াল রাখে না
  • আপনি ভাবছেন, ‘আমি শুধু দিচ্ছি আর দিচ্ছি!’
  • সে যেন সবকিছুকে স্বাভাবিক ধরে নিচ্ছে

এই ধরনের সম্পর্ক খুব কষ্টদায়ক। কারন একতরফা সম্পর্ক কখনও সুখ দিতে পারে না। সময় থাকতে বুঝে নিন—আপনি একা এই সম্পর্ক ধরে রাখতে পারবেন না। মানসিক শান্তির জন্য এমন উদাসীন মানুষের কাছ থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিন।

অমোঘ মিথ্যাবাদী;
এরকম ভাবার কারণ নেই যে, সবাই সবসময় সত্য কথা বলবে। তবে যদি সন্দেহ হয় আপনার জীবনের কেউ বেশিরভাগ সময় অনুভূতি কাড়তে অতিরিক্ত মিথ্যা বলছে তাহলে সাবধান হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। অস্বাভাবিক মিথ্যাবাদীদের প্রথমে খুবই ‘চার্মিং’ মনে হবে। তারা জীবনটাকে মজারও করে তুলতে পারে। তবে একটা রেখায় এসে এই ধরনের মানুষদের সঙ্গে মেশা বন্ধ করতে হবে কিংবা কমিয়ে দিতে হবে। কারণ বিশ্বাস না থাকার কারণে সেই সম্পর্ক কখনোই জোরালো হবে না।

🔸 কীভাবে বুঝবেন;
  • কথা বলার সময় খুবই আকর্ষণীয় মনে হবে
  • মজার মানুষ মনে হবে
  • কিন্তু পরে দেখবেন সে অনেক কিছু গোপন করে

মিথ্যাবাদীদের সাথে গভীর সম্পর্ক না করাই ভালো। অথবা সম্পর্ক রাখলেও তরল সম্পর্ক রাখাই ভালো। গভীরে গেলেই মরবেন।

বন্ধু রুপি শত্রু বা ফ্রেনিমি;
‘ফ্রেনিমি’ কথাটার মানে হলো– এমন একজন মানুষ, যে দেখতে বন্ধুর মতো, কিন্তু আচরণে শত্রুর মতো। আমরা অনেক সময় বুঝতেই পারি না, কেউ আমাদের বন্ধুর ভান করে আসলে আমাদের নিচে নামাতে চাইছে। হয়তো সে সবসময় প্রতিযোগিতার ভাব ধরে, আপনার সাফল্যে খুশি হয় না, বরং মনে মনে জ্বলে। এমনকি অন্যদের কাছে আপনাকে নিয়ে খারাপ কথা বলে।

🔸 চেনার উপায়;
  • আপনার ভালো খবর শুনে মুখ গোমরা হয়ে যায়
  • নিজের প্রয়োজনের সময় আপনাকে খোঁজে, কিন্তু আপনি অসুবিধায় থাকলে পাশে থাকে না
  • সবসময় প্রতিযোগিতা করার চেষ্টা করে
  • আপনার যত্ন, সাহায্য বা আন্তরিকতাকেও গুরুত্ব দেয় না

আপনি যদি অনুভব করেন, আপনি যার ভালো চান, সে-ই আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে—তাহলে তার সঙ্গে শান্তভাবে কথা বলুন। পরিবর্তন না হলে নিজের ভালোর জন্য সম্পর্ক থেকে দূরে সরে যাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

খারাপকে ভালো বলা;
জীবনের পথে চলতে গিয়ে অনেক মানুষ নানা খারাপ অভ্যাসে জড়িয়ে পড়ে—যেমন অতিরিক্ত মদ খাওয়া, টাকা-পয়সার অপচয়, সময় নষ্ট করা, বা এমন কিছু কাজ করা যেগুলো ধীরে ধীরে নিজেকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়।
এমন অবস্থায় আমরা অনেক সময় চেষ্টা করি সেই মানুষটাকে বদলাতে, তাকে ভালো পথে ফেরাতে। কিন্তু সমস্যা হয় তখন, যখন পাশে থাকা কেউ এসব খারাপ অভ্যাসকে স্বাভাবিক মনে করে বা আপনাকেও সেই পথে টেনে নিয়ে যেতে চায়।

🔸 চেনার উপায়;
  • আপনি নিজে বদলাতে চাইছেন, কিন্তু সে আপনাকে পিছনে টানছে
  • খারাপ কাজে বাধা না দিয়ে বরং উৎসাহ দিচ্ছে
  • নিজের খারাপ কাজগুলোর দায় নিচ্ছে না, উল্টো সেগুলোকে “স্বাভাবিক” বলে চালিয়ে দিচ্ছে

মনে রাখবেন, আপনি যদি নিজেকে ভালো করতে চান, তাহলে এমন মানুষদের থেকে কিছুটা দূরে থাকা জরুরি। নিজে যতক্ষণ না মনের দিক থেকে শক্ত হচ্ছেন, ততক্ষণ এই টানাটানির মধ্যে না পড়াই ভালো। নিজের মানসিক শান্তি এবং ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন।

অহমিকাপূর্ণ মানুষ; 
চিন্তা করে দেখুন—আপনার আশেপাশে কি এমন কেউ আছে, যে সবসময় চায় সবাই শুধু তার কথাই শুনুক, তাকেই গুরুত্ব দিক? মনে হয় যেন সে ঘরের সব আলো নিজের উপর ফেলতে চায়!
বন্ধুমহলেও এমন মানুষ থাকে, যারা চায় সবসময় তারা যেন কেন্দ্রে থাকে। প্রথমে ব্যাপারটা মজার বা স্বাভাবিক মনে হতে পারে, কিন্তু ধীরে ধীরে আপনি অনুভব করবেন যে আপনি নিজেই হারিয়ে যাচ্ছেন।
আপনার কথা, অনুভূতি, মতামতের কোনো দাম নেই—সবকিছু ঘোরে শুধু তার চারপাশে।

🔸 চেনার উপায়;
  • সবসময় নিজের কথা বলেই চলে
  • আপনার মতামত বা ইচ্ছে গুরুত্ব পায় না
  • চায় সবাই তাকে নিয়ে মুগ্ধ থাকুক
  • আপনি তার পাশে ছোট বা তুচ্ছ মনে করতে থাকেন

এমন পরিস্থিতিতে সম্পর্কটা নতুন করে ভাবুন। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। তাতে কাজ না হলে নিজের আত্মসম্মান রক্ষার্থে একটু দূরত্ব বজায় রাখাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

মানসিক আঘাত; 
সব আঘাতই চোখে দেখা যায় না। অনেক সময় এমন কিছু মানুষ আমাদের জীবনে আসে, যারা শারীরিকভাবে নয়, বরং মন থেকে কষ্ট দিতে ওস্তাদ। তারা মুখে কিছু না বলেও এমন ব্যবহার করে যে আপনি নিজেকে ছোট, তুচ্ছ আর একা মনে করতে শুরু করেন।

🔸 চেনার উপায়;
  • সবসময় আপনাকে অবহেলা করে
  • কথায় কথায় হিংসা প্রকাশ করে
  • নিজের ভুল ঢাকতে আপনাকে ভয় দেখায়
  • আপনাকে মানসিকভাবে দুর্বল করে ফেলে

এরা এমনভাবে আচরণ করে যে আপনি ধীরে ধীরে নিজের ওপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। এই মানুষগুলো সম্পর্কের নামে আপনাকে ভেঙে ফেলে। যদি আপনি বুঝতে পারেন যে কেউ এভাবে আপনাকে আঘাত করছে, তাহলে প্রথমে চেষ্টা করুন তাকে বুঝিয়ে সাহায্য করতে। প্রয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। কিন্তু তাতেও যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, তাহলে নিজের ভালোর জন্য সাহস করে দূরে সরে আসুন। নিজের মানসিক শান্তি সবার আগে।

অত্যাচারীর ফিরে আসা;
জীবনে এমন কিছু মানুষ থাকে, যারা একসময় আমাদের খুব কষ্ট দিয়েছে– হয়তো শারীরিকভাবে, আবার হয়তো মানসিকভাবে। সময়ের সঙ্গে আমরা সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছি, নিজেকে একটু একটু করে ঠিক করেছি। কিন্তু হঠাৎ একদিন সেই মানুষ আবার ফিরে আসে। হয়তো পুরোনো কোনো সম্পর্ক, নয়তো নতুন রূপে পুরোনো যন্ত্রণা!

🔸 কি করে চিনবেন;
  • আবারো আপনার জীবনে ঢুকতে চায়
  • পুরোনো প্রেম, ভালোবাসার গল্প শোনায়
  • বলে, “এবার আমি বদলে গেছি”

এই কথা শুনে আপনার মন নরম হয়ে যেতেই পারে। কিন্তু ভুলে যাবেন না সেই কষ্টের দিনগুলো। অতীতে আপনি যা সহ্য করেছেন, তা আবারও ঘটতে পারে। ফিরে আসা যতই ভালোবাসার মতো লাগুক, সেটার ভেতরে লুকিয়ে থাকতে পারে আবারও সেই পুরোনো যন্ত্রণা।
তাই, নিজেকে প্রশ্ন করুন: “আমি কি আবারও সেই যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে পারব?” যদি উত্তর ‘না’ হয়, তাহলে সাহস করে সেই মানুষটিকে না বলুন। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিন, এবং নিজের ভালোর জন্য দূরে থাকুন।

সমালোচক; 
আমাদের আশপাশে অনেক মানুষ থাকে যারা কিছু না কিছু নিয়ে সবসময় সমালোচনা করতেই পছন্দ করে। আপনার নিজস্ব সময় কাটানো, আপনার পোশাক, কর্মকাণ্ড বা বন্ধুবান্ধব নিয়ে কটু সমালোচনা করতেই থাকে!
এমন কেউ আছেন কি, যিনি–

  • আপনি কী পরলেন,
  • কার সঙ্গে মিশছেন,
  • কেমন সময় কাটান,
    সবকিছু নিয়েই খুঁত ধরেন?

🔸 এসব মানুষ নিজেরাও সবসময় নেতিবাচক চিন্তা করে এবং সেই ভাবটাই আপনাকেও দিয়ে যায়।
এভাবে প্রতিনিয়ত কটু কথা শুনতে শুনতে একসময় আপনি নিজেকে ছোট মনে করতে শুরু করবেন, আত্মবিশ্বাস কমে যাবে।

কী করবেন?
  • প্রথমে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। তাকে বলুন, তার কথায় আপনি কেমন আঘাত পাচ্ছেন।
  • যদি এতে কাজ না হয়, তাহলে অবশ্যই একটা সীমা টেনে দিন।
    সবসময় নেতিবাচক মনোভাব সহ্য করা যায় না, আর সহ্য করারও কথা নয়।

পুরানো বন্ধু; 
পুরোনো বন্ধুর কথা মনে পড়লে মনের কোণে হাসি চলে আসে। একসঙ্গে কাটানো সেই স্কুল-কলেজের দিন, আড্ডা, গল্প– এসবই তো জীবনকে রঙিন করে তোলে। আর যদি সেই পুরোনো বন্ধু আবার জীবনে ফিরে আসে, তাহলে তো আনন্দের আর শেষ থাকে না।
কিন্তু সব সময় কি সেই ফেরা সুখের হয়? অনেক সময় দেখা যায়, সেই বন্ধুটিই এখন এমন ব্যবহার করছে, যা আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে। হয়তো সে আপনাকে ছোট করে কথা বলছে, অথবা এমন আচরণ করছে যা আপনার নিজের জায়গা, নিজের পছন্দ-অপছন্দকে আঘাত করছে। আপনি যদি টের পান যে তার সঙ্গে থাকতে থাকতে আপনি নিজেই বদলে যাচ্ছেন, নিজের স্বাধীনতা হারাচ্ছেন –তাহলে একটু থামুন, ভেবে দেখুন। এটা কি সত্যিই বন্ধুত্ব? 
সত্যিকারের বন্ধুত্ব কখনোই আপনার নিজস্বতাকে কেড়ে নেয় না। তাই, নিজের শান্তি ও মানসিক সুস্থতার জন্য সেই বন্ধুর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করাই হতে পারে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

সম্পর্ক পাতলা হয়ে যাওয়া; 
বন্ধুত্ব হোক বা ভালোবাসার সম্পর্ক— সবকিছুরই একটা নিয়মিত যত্ন দরকার। যেমন একটা গাছকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে সময়মতো পানি দিতে হয়, ঠিক তেমনই সম্পর্কের যত্ন না নিলে তা শুকিয়ে যায়, ফাঁকা হয়ে পড়ে।
ধরুন, আপনি খুব কষ্ট করে সময় বের করলেন, সব দিক সামলে, শুধু একজনের সঙ্গে দেখা করার জন্য বা কথা বলার জন্য। কিন্তু সে ব্যক্তি হঠাৎ করে শেষ মুহূর্তে বলল, “আসতে পারবো না”, কিংবা “এখন সময় নেই।” এমন হলে মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক। বরং যদি তাকে সত্যি আপনজন মনে করেন, তাহলে খোলাখুলি কথা বলুন।
তাকে বুঝিয়ে বলুন; “তোমার এই অবহেলা আমাকে কষ্ট দিচ্ছে। আমি একা টানতে টানতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছি।”
অনেক সময়, সম্পর্ক শুধু কথা বললেই আবার ঠিক হয়ে যায়। আর যদি তাতেও না বুঝে, তাহলে তাকে জানিয়ে দিন, তার এই পাতলা মনোভাবের জন্য আপনার ধৈর্য্য কমে যাচ্ছে।

উপসংহার;

সব সম্পর্ক আমাদের ভালো রাখে না। কিছু সম্পর্ক কেবল আমাদের কষ্ট দেয়। আপনি যদি বুঝতে পারেন কেউ আপনাকে মানসিকভাবে কষ্ট দিচ্ছে, তবে তাকে ছেড়ে দেওয়াই সবচেয়ে ভালো। নিজের মানসিক শান্তি, সম্মান আর ভালো থাকার জন্য কিছু মানুষকে দূরে রাখতেই হয়।

 

আমার সম্পর্কে

আমি ছফওয়ান আল মুসাইব, একজন 3D আর্টিস্ট, ভিডিও এডিটর। 3D আর্টের প্রতি গভীর ভালোবাসা থেকেই আমি আমার ক্যারিয়ার শুরু করি, এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের দক্ষতা গড়ে তুলেছি। পেশাগত জীবনে সাফল্যের পাশাপাশি আমি গল্প লেখা এবং ভ্রমণে দারুণ আগ্রহী। শখের বসে মাঝে মাঝে হাতে কলম তুলে নিই এবং আমার মনের ভাবনা ও অনুভূতিগুলোকে শব্দে রূপ দিই। আমার লেখা গল্পগুলো বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে, যা অনেক পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।

জনপ্রিয় পোস্ট

সাম্প্রতিক পোস্ট