আমাদের প্রত্যেকের জীবনে-ই অসংখ্যবার এমন মুহূর্ত আসে, যখন আমরা জানি আমাদের ঠিক কী করা উচিত। কিন্তু জানার পরেও কোন এক অদৃশ্য শক্তি অদ্ভুতভাবে একটা invisible দেওয়াল তৈরী করে পথ আটকে দাঁড়ায়। আচ্ছা, আপনার সাথেও কি এমনটা হয়? ধরুন, ভোর ছয়টায় অ্যালার্মটা বেজে উঠলো, আর আপনি ঠিক জানেন যে বিছানা ছেড়ে ওঠাটা ভীষণ জরুরি। কিন্তু কীসের এক অদৃশ্য টানে যেন বিছানা ছেড়ে উঠতে ইচ্ছে-ই করছে না! কিংবা ধরুন, খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা মিটিং চলছে, আপনার মাথায় দারুণ একটা আইডিয়াও এসেছে, কিন্তু বলার আগেই মনের ভেতর থেকে কেউ যেন ফিসফিস করে বলছে, ‘‘ছেড়ে দে, কী দরকার ঝামেলা করার!’’ অথবা আপনার স্বপ্নের সেই প্রজেক্টটা, যেটা শুরু করবেন করবেন বলেও আর করাই হচ্ছে না, দিনের পর দিন শুধু দীর্ঘশ্বাস বাড়ছে।
এই যে একটা অদ্ভুত জড়তা, একটা অজানা ভয়, আর সবকিছু ফেলে রাখার একটা বাজে অভ্যাস—এই চক্রে আমরা অনেকেই কিন্তু ফেঁসে যাই, তাই না? মনে হয়, যেন অদৃশ্য কোনো শক্তি আমাদের ইচ্ছেগুলোর গলা টিপে ধরেছে। আমরা জানি কোনটা ঠিক, কোনটা করা উচিত, কিন্তু সেই জানা আর করার মাঝখানে পাহাড়প্রমাণ বাধা। বিশ্বাস করুন, আপনি একা নন। আমাদের প্রায় প্রত্যেকের জীবনেই এই লড়াইটা চলে। আর এই চক্রটা ভাঙার একটা অবিশ্বাস্য সহজ সমাধান বাতলে দিয়েছেন মেল রবিন্স, তাঁর যুগান্তকারী বই ‘‘দ্য ফাইভ সেকেন্ড রুল’’-এ। এই অবিশ্বাস্য সহজ সমাধানটি আপনার জীবনকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে, ‘‘আপনি অন্যদের থেকে সেরা’’ হয়ে উঠতে সাহায্য করতে পারে।
বইটা ঠিক কী নিয়ে;
বইটির একেবারে কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একটা অবিশ্বাস্য সহজ নিয়ম: যখনই আপনার মনে হবে, কোনো একটা কাজ করা দরকার, বা কোনো একটা পদক্ষেপ নেওয়া উচিত—দেরি না করে, ৫-৪-৩-২-১ একশন বলে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ুন! লেখিকা বলেন, এই ৫ সেকেন্ডের মধ্যেই যা করার করে ফেলতে হবে, নইলে কিন্তু আপনার মস্তিষ্কই নানা রকম অজুহাত আর ভয় দেখিয়ে আপনাকে থামিয়ে দেবে।
ভাবছেন, এ আবার কেমন নিয়ম? এত সহজ একটা ব্যাপার কীভাবে কাজ করে? হুম, আপনি ভাবতে পারেন। তবে ভাবতে এবং শুনতে যতই সাধারণ লাগুক, এই নিয়মের জন্ম কিন্তু কোনো মনোবিজ্ঞানীর গবেষণাগারে হয়নি। বরং এই নিয়মের জন্ম লেখিকা মেল রবিন্সের জীবনের এক চরম সংকটময় মুহূর্তে, যখন তাঁর চারপাশের পৃথিবীটা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ছিল।
সালটা ২০০৯। বয়স একচল্লিশ। মেল নিজেই বলছেন, ‘‘আমার বিয়ে, টাকা-পয়সা, কাজকর্ম, এমনকি নিজের প্রতি নিজের সম্মানটুকুও যেন তলিয়ে যাচ্ছিল।’’ স্বামী ক্রিসের রেস্টুরেন্ট ব্যবসা ডুবতে বসেছে, বাড়ির মর্টগেজের টাকা আসছে বাবার কাছ থেকে, পাওনাদারদের ভয়ে টেলিফোনটাও বন্ধ করে দিতে হয়েছে। কাজের জগতেও দিশেহারা অবস্থা—আইনজীবী হিসেবে শুরু করেও একের পর এক পেশা বদলেছেন, মিডিয়াতেও চেষ্টা করেছেন, কিন্তু কোথাও যেন পায়ের তলার মাটি খুঁজে পাচ্ছিলেন না। দিনের পর দিন হতাশা, দুশ্চিন্তা আর কাজকর্মে এমন অনীহা যে, তাঁর নিজের ভাষাতেই, ‘‘প্রতিদিন সকালে বিছানা থেকে উঠতে আমাকে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হতো। শেষ পর্যন্ত আমি যখন জেগে উঠি, ইতিমধ্যে ‘ক্রিস’ রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে বের হয়ে গেছে, বাচ্চারা স্কুলের পোশাক নিয়ে হ-য-ব-র-ল অবস্থায় আছে এবং তাদের স্কুল বাস অনেক আগেই ছেড়ে চলে গেছে।’’ এই যে সকালে বিছানা ছাড়তে না পারা, এটা কিন্তু নিছক আলসেমি ছিল না; এটা গভীর হতাশা আর জীবন নিয়ে চরম অতৃপ্তির এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি।
এই রকম এক ঘোর অমানিশার রাতে, তিনি টেলিভিশন দেখতে ছিলেন। যেইমাত্র তিনি টেলিভিশনটি বন্ধ করে বিছানায় যাওয়ার কথা ভাবছিলেন, ঠিক সেই মুহূর্তে তার দৃষ্টি টেলিভিশনের পর্দায় আটকে যায়। পর্দায় তখন রকেট-এ করে একটি মহাশূন্যযান উৎক্ষেপনের দৃশ্য দেখা যাচ্ছিল। তিনি শেষ পাঁচ সেকেন্ড গণনা শুনতে পান, ৫…৪…৩…২…১…গো! অতঃপর আগুন ও ধোয়ায় টেলিভিশন পর্দাটি ভরে ওঠে এবং তীব্র গতিতে মহাকাশের দিকে ছুটে চলা শুরু করে।
তখন হঠাৎ করেই তাঁর মাথায় একটা অদ্ভুত, ছেলেমানুষি চিন্তা খেলে যায়। তিনি ভাবলেন, ‘‘আগামীকাল ভোরে ঠিক এভাবেই তিনি নিজেকে বিছানা থেকে তুলে দেবেন। একটি ‘রকেট’ উৎক্ষেপণের মত। খুব দ্রুত কাজটি করবে যাতে করে তিনি নিজের সঙ্গে কথা বলার সময় না পান।’’
পরদিন ভোর ছ’টায় যখন অ্যালার্মটা তীক্ষ্ণস্বরে বেজে উঠল, তাঁর প্রথম অনুভূতিই ছিল সেই চিরচেনা ভীতি আর বিছানা না ছাড়ার এক তীব্র, অপ্রতিরোধ্য ইচ্ছা। কিন্তু আগের রাতে দেখা সেই রকেট উৎক্ষেপণের দৃশ্যটা তখনো তাঁর মনের মধ্যে জ্বলজ্বল করছিল। তিনি তাঁর মনের ভেতরের সমস্ত দ্বিধা, সমস্ত ভাবনাকে এক ঝটকায় অগ্রাহ্য করলেন এবং ‘‘আরেকটু ঘুমিয়ে পড়’’ বোতামে চাপ দেওয়ার চিরকালীন অভ্যাসের পরিবর্তে, তিনি উল্টো করে গুনতে শুরু করলেন, ৫-৪-৩-২-১ একশন।
এবং তারপর? অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, তিনি বিছানা ছেড়ে উঠে পড়লেন! লেখিকার ভাষায়, ‘এটাই ছিল সেই মুহূর্ত যখন আমি আবিষ্কার করি ‘‘দ্য ফাইভ সেকেন্ড রুল।’’ এই সামান্য, ছেলেমানুষি একটা কাজ—বিছানা ছেড়ে ওঠা—তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। তিনি হয়তো তখনো জানতেন না যে এই ছোট্ট আবিষ্কারটা শুধু তাঁর নিজের জীবন নয়, লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু সেটাই ছিল শুরু! এই অতি সাধারণ, কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে করা কাজটাই ছিল ‘‘দ্য ফাইভ সেকেন্ড রুল’’-এর ভিত্তিপ্রস্তর, যা পরবর্তীকালে একটা শক্তিশালী আত্ম-উন্নয়ন পদ্ধতিতে পরিণত হয়েছে।
কেন এই নিয়মটা এত শক্তিশালী;
মেল রবিন্স এই বইটিতে মনোবিজ্ঞান আর স্নায়ুবিজ্ঞানের আলোকে ব্যাখ্যা করেছেন, কেন এই সাধারণ নিয়মটা এত কার্যকর। এটা আমাদের মস্তিষ্কের সেই অংশকে (প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স) সক্রিয় করে, যা সিদ্ধান্ত নিতে ও মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে। আর সবচেয়ে বড় কথা, এটা আমাদের পুরনো অভ্যাসের চক্র ভাঙতে সাহায্য করে।
বইটা জুড়ে রয়েছে অসংখ্য সাধারণ মানুষের বাস্তব জীবনের গল্প—যারা এই ৫ সেকেন্ডের নিয়ম ব্যবহার করে তাঁদের সাধারণ জীবনে অভাবনীয় পরিবর্তন এনে অসাধারণ করে তুলেছেন। আলসেমি কাটানো, স্বাস্থ্যকর অভ্যাস তৈরি করা, দুশ্চিন্তা ও উদ্বেগ কমানো, ভয়কে জয় করা, আত্মবিশ্বাস বাড়ানো—জীবনের প্রায় প্রতিটা ক্ষেত্রেই এই নিয়মটা কাজে লাগানোর কথা বলেছেন লেখিকা।
অনুবাদকের চোখে ‘আলসেমি বা ঢিলেমি’র সমাধান;
আনিস কবির তাঁর অনুবাদকের কথায় খুব সুন্দর একটা বাস্তব উদাহরণ দিয়েছেন। আমরা অনেকেই যেমন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভাবি, ‘‘কাল সকালে ঠিক সময়ে উঠব, জরুরি কাজটা করব।’’ কিন্তু ঘুমানোর আগে ফেসবুক, ইউটিউব, ইমেইলের চক্রে আটকে যাই। পরদিন সকালে অ্যালার্ম বাজার পরও উঠতে পারি না। ফলাফল? একটা ব্যর্থ দিনের শুরু। আনিস কবির বলছেন, এই যে ‘‘আলসেমি বা ঢিলেমি’’, এর প্রতিকার কিন্তু ডাক্তার বা মনোবিজ্ঞানীর চেয়েও বেশি করে নিজের হাতেই। মেল রবিন্সের ‘‘দ্য ফাইভ সেকেন্ড রুল’’ ঠিক এই সমস্যাটাকেই চিহ্নিত করে। যখনই কোনো সিদ্ধান্ত ‘সঠিক’ মনে হবে, ৫-৪-৩-২-১ গুনে সেটা করে ফেলতে হবে, কোনো ঢিলেমি চলবে না। ঠিক যেন রকেট উৎক্ষেপণের মতো—একবার শুরু হলে আর পেছনে ফেরা নেই!
কাদের জন্য এই বই;
সত্যি বলতে, এই বইটা প্রায় সবার জন্যই। তবে বিশেষ করে যদি আপনার মধ্যে নিচের সমস্যাগুলো থাকে, তাহলে তো এটা আপনার জন্যই লেখা;
- দীর্ঘসূত্রতা বা আলস্যের শিকার।
- নতুন কিছু শুরু করতে ভয় পান বা দ্বিধা বোধ করেন।
- আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগছেন।
- খারাপ অভ্যাস পরিবর্তন করতে বা ভালো অভ্যাস তৈরি করতে চান।
- অতিরিক্ত চিন্তা (overthinking) করেন।
- উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা বা ভীতিতে আক্রান্ত।
- লক্ষ্য নির্ধারণ করেন কিন্তু তা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হন।
- জীবনে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চান, কিন্তু কোথা থেকে শুরু করবেন বুঝতে পারছেন না।
বইটির ভালো দিক;
- সহজবোধ্যতা ও কার্যকারিতা: নিয়মটা এতটাই সহজ যে যে কেউই সাথে সাথে এটা কাজে লাগাতে পারে এবং দ্রুত ফল পেতে শুরু করে।
- বাস্তবসম্মত: লেখিকার নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা আর অসংখ্য মানুষের সত্যি ঘটনা বইটাকে অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছে।
- বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা: নিয়মটা কেন কাজ করে, তার পেছনে মনস্তত্ত্ব আর স্নায়ুবিজ্ঞানের সহজ ব্যাখ্যা থাকায় এর গ্রহণযোগ্যতা অনেক।
- অনুপ্রেরণাদায়ক: বইটা শুধু নিয়ম-ই শিখায়নি, বরং নিজের ভেতরের শক্তিটাকে আবিষ্কার করে জীবনে বদল আনতে সাহস জোগায়।
- প্রয়োগক্ষেত্র: জীবনের প্রায় সব দিকেই (ছোটখাটো আলসেমি থেকে শুরু করে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া পর্যন্ত) এই নিয়ম কাজে লাগিয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়।
- সাবলীল অনুবাদ: (আনিস কবিরের করা) বাংলা অনুবাদটা মূল বইয়ের ভাবটা ধরে রেখে আমাদের মতো বাঙালি পাঠকদের জন্য বেশ সহজপাঠ্য করে তুলেছে।
বইটির দুর্বলতা এবং আরও ভালো করার সুযোগ;
কিছু কিছু বিষয় অন্যভাবে ভাবা যেতে পারত;
- তথ্যের পুনরাবৃত্তি: কিছু কিছু মূল ধারণা বা তথ্য বইতে একাধিকবার এসেছে। কারো কারো কাছে এটা একটু একঘেয়ে লাগতে পারে। তবে, সেলফ-হেল্প বইতে অনেক সময় জরুরি কথাগুলো মনে গেঁথে দেওয়ার জন্য এমনটা করা হয়।
- অতি সরলীকরণ: কিছু জটিল মানসিক সমস্যা বা গভীর ট্রমার ক্ষেত্রে এই নিয়মটাই হয়তো একমাত্র বা চূড়ান্ত সমাধান হিসেবে যথেষ্ট নয়। সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ লাগবেই। তবে হ্যাঁ, যেকোনো কিছু শুরু করার জন্য এটা দারুণ একটা ধাক্কা দেয়।
- ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা: নিয়মটা একটা দারুণ শক্তিশালী হাতিয়ার, কিন্তু এটা কোনো জাদুর কাঠি নয়। এর আসল সুফল পেতে হলে পাঠকের নিজের চেষ্টা আর ইচ্ছেটা খুব জরুরি।
- অনুবাদ প্রসঙ্গে: বাংলা সংস্করণে যদি আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট বা উদাহরণ (অবশ্যই লেখিকার মূল ধারণার সাথে মিল রেখে) আরও কিছু যোগ করা যেত, তাহলে আমরা বাঙালি পাঠকরা হয়তো আরও সহজে নিজেদের সাথে মেলাতে পারতাম। এছাড়াও, মূল বইতে থাকা সামাজিক মাধ্যমের পোস্টগুলোর কিছু নির্বাচিত অংশের বাংলা অনুবাদ অন্তর্ভুক্ত করা গেলে অভিজ্ঞতাটি আরও দারুন হতো।
লেখিকা পরিচিতি (মেল রবিন্স);
মেল রবিন্স (জন্ম: অক্টোবর, ১৯৬৮) একজন আমেরিকান টেলিভিশন উপস্থাপিকা, লেখিকা এবং প্রেরণাদানকারী বক্তা (মোটিভেশনাল স্পিকার)। তিনি তার তথ্যবহুল এবং অনুপ্রেরণামূলক বক্তৃতার জন্য সুপরিচিত। ‘‘দ্য ফাইভ সেকেন্ড রুল’’ বইটি তাকে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি এনে দিয়েছে। এছাড়াও তার একটি জনপ্রিয় টেডএক্স (TEDx) টক রয়েছে ‘‘How to stop screwing yourself over’’ শিরোনামে, যা কোটি কোটি মানুষ দেখেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে নানা প্রতিকূলতা জয় করে তিনি আজকের অবস্থানে এসেছেন।
অতিরিক্ত কথা;
বইটির মূল ভাষা ইংরেজি থেকে অনেকেই বাংলায় অনুবাদ করেছে। যেমন, নুসরাত তাজরী, পারভেজ খান, লায়েক আহমেদ, পল্লব শাহরিয়ার, আনিস কবির সহ আরও অনেকে। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে লায়েক আহমেদের অনুবাদ করা বইটি বেশ সহজবোধ্য এবং ঝরঝরে মনে হয়েছে।
লায়েক আহমেদের অনুবাদ করা বইটির লিংক— https://rkmri.co/MeeTSoTeNEeM/
ব্যক্তিগত রেটিং ও শেষ কথা;
সব মিলিয়ে, ‘‘দ্য ফাইভ সেকেন্ড রুল’’ একটি অত্যন্ত কার্যকরী এবং জীবন পরিবর্তনকারী গ্রন্থ। এটি আমাদের শেখায় যে, জীবনের বড় বড় পরিবর্তনগুলো প্রায়শই ছোট ছোট সাহসী পদক্ষেপ দিয়েই শুরু হয়। এটি এমন ৫ সেকেন্ডের জাদু, যা আপনার ভেতরের ঘুমিয়ে থাকা শক্তিটাকে জাগিয়ে তুলতে পারে।
ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে রেটিংয়ে এই বইটির অবস্থান ৫ এর মধ্যে ৪.৫। যারা নিজেদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে চান এবং একটা সহজ কিন্তু বৈজ্ঞানিক কৌশল খুঁজছেন, তাদের জন্য এই বইটি অবশ্যই পড়া উচিত।