ছফওয়ান আল মুসাইব

আঁধার রাতের বন্দিনী

আঁধার রাতের বন্দিনী

কী করবেন আপনি, যখন আপনার চারপাশের পৃথিবীটা পরিণত হয় এক বিশাল কারাগারে? যখন আপনার বিশ্বাসকে মুছে ফেলার জন্য উদ্যত হয় এক বিশাল সাম্রাজ্য? যেখানে নিজের বিশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকাটাই সবচেয়ে বড় অপরাধ। সাম্রাজ্যিক এক দানব ছুটে আসে আপনার চিন্তা, চেতনাকে নিশ্চিহ্ন করতে। আপনার হাতের মুঠোয় ধরা তসবিহটাকেও তারা দেখে এক বিপ্লবের অস্ত্র! আপনার চোখের সামনেই হত্যা করা হয় আপনার আপনজনদের, আর মসজিদ-মাদ্রাসা পরিণত হয় ঘোড়ার আস্তাবলে। আর আলেমদের রক্তে ভেজা মাটির উপর দিয়ে হেঁটে বেড়ায় নাস্তিক্যবাদের কালো ছায়া। তখন আপনি কি করবেন? স্রোতের মুখে তৃণখণ্ডের মতো ভেসে যাবেন? নাকি রুখে দাঁড়াবেন? একা হলেও দাঁড়াবেন?

আমীরুল ইসলাম রচিত পাঁচ খণ্ডের মহাকাব্য ‘আঁধার রাতের বন্দিনী’ ঠিক এই প্রশ্নগুলোর উত্তর নিয়েই আমাদের সামনে হাজির হয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতাকাতলে মধ্য এশিয়ার মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল—সমরকন্দ, বুখারা, তাসখন্দের অলিগলি থেকে আফগানিস্তানের দুর্গম উপত্যকা পর্যন্ত বিস্তৃত এক বিশাল ক্যানভাসে এই আখ্যানটি রচিত হয়েছে। এটি কোনো সাধারণ গল্প নয়। এটি সোভিয়েত ইউনিয়নের নাস্তিক্যবাদী শাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট হতে থাকা মধ্য এশিয়ার একদল মুসলিমের রক্ত, ঘাম আর অশ্রুর উপাখ্যান। এটি এক সর্বহারা যুবকের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রতিজ্ঞা, এক বন্দিনী নারীর ইস্পাতকঠিন প্রতিরোধের শপথ এবং সেই স্ফুলিঙ্গ থেকে জন্ম নেওয়া এক বিশাল দাবানলের শ্বাসরুদ্ধকর কাহিনী, যা আপনাকে শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত এক ঘোরের মধ্যে আটকে রাখবে।

কাহিনী সংক্ষেপ;

এক নিশ্বাসে এই উপন্যাসের বিশালতা বোঝানো কঠিন। এর কাহিনী যেন এক খরস্রোতা নদী! যা বুঝতে হলে এর কাহিনীকে কয়েকটি পর্বে ভাগ করে নেওয়া যেতে পারে_

প্রথম পর্ব;
কাহিনীর সূচনা হয় সমরখন্দের এক মাদ্রাসার ছাত্র খোবায়েব জাম্বুলীকে দিয়ে। কমিউনিস্ট শাসকেরা শহরের সবচেয়ে সম্মানিত আলেমদের হত্যা করে যার ফলে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ দেওয়া হয়। বাড়ি ফিরে সে জানতে পারে, তার পিতার মাদ্রাসায় তার পিতা-সহ শতাধিক আলেম ও ছাত্র-ছাত্রীকেও নির্মমভাবে শহীদ করা হয়েছে। প্রতিশোধের আগুনে জ্বলতে থাকা এই তরুণ যখন তার পিতার লাশ খুঁজতে যায়, তখন এক পরিত্যক্ত জমিদার বাড়ীতে তার দেখা মেলে এই কাহিনীর আত্মার সাথে— ছায়েমা মালাকানী। যার পুরো পরিবারকেও কমিউনিস্টরা শেষ করে দিয়েছে। সেই আঁধার রাতে, ধ্বংসস্তূপের মাঝে দাঁড়িয়ে দুটি সর্বহারা আত্মা একে অপরের মধ্যে খুঁজে পায় প্রতিরোধের শেষ আশ্রয়। এরপর শুরু হয় তাদের অসম লড়াই। মাত্র দুজন মানুষ, একটি সাধারণ অস্ত্র নিয়ে তারা কাঁপিয়ে দেয় লাল বাহিনীর ভিত। রাতের আঁধারে অতর্কিত হানা দিয়ে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়া, অতর্কিত আক্রমণে শত্রুকে দিশেহারা করে দেওয়া—এভাবেই জন্ম নেয় এক নতুন প্রতিরোধের, যা ছিল এক মহাকাব্যের ভূমিকা মাত্র।

দ্বিতীয় পর্ব;
খোবায়েব ও ছায়েমার দলটি ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। তাদের সাথে যোগ দেয় সাবেক সেনা কর্মকর্তা ইয়ার মোহাম্মদ ও জাফর লুধীর মতো অভিজ্ঞ যোদ্ধারা। তাদের সম্মিলিত আক্রমণে কমিউনিস্ট বাহিনী একের পর এক পরাজিত হতে থাকে। তারা অস্ত্রশস্ত্র ও রসদপত্র গনিমত হিসেবে সংগ্রহ করে নিজেদের শক্তি বাড়াতে থাকে। এই পর্বে এসে আমরা দেখি, সাধারণ মানুষের মধ্যেও প্রতিরোধের চেতনা জেগে উঠছে। বিশেষ করে, বুকাইলী নামক স্থানে ছায়েমা স্থানীয় নারীদের প্রশিক্ষণের দায়িত্ব নেয় এবং তাদের মধ্যে জিহাদের চেতনা জাগিয়ে তোলে। এই পর্বেই আফগানিস্তানের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়ার পর কাহিনীর মোড় নেয় অন্যদিকে। সেখানে খোবায়েবের পরিচয় হয় চিকিৎসক ও সমাজসেবক হারেছ মিকাইলীর রূপসী কন্যা মাহমুদার সাথে, যে পরবর্তীতে খোবায়েবের জীবনে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে।

তৃতীয় পর্ব;
প্রত্যেক মহাকাব্যেই একটি হৃদয়বিদারক ট্র্যাজেডি থাকে। এই উপন্যাসের সেই ট্র্যাজেডি হলো কুকান্দুজের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। এই যুদ্ধেই শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করেন এই সিরিজের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং প্রেরণাদায়ী চরিত্র—ছায়েমা মালাকানী। তার মৃত্যু খোবায়েবের জীবনকে যেমন ওলটপালট করে দেয়, তেমনি সংগ্রামের গতিপথও পাল্টে দেয়। এবার খোবায়েবের লড়াই শুধু দেশ ও দ্বীনের জন্য নয়, তার সাথে মিশে যায় প্রিয়জন হারানোর ব্যক্তিগত প্রতিশোধের আগুনও।

চতুর্থ পর্ব;
আফগানিস্তানের মাটিতে খোবায়েব এখন আব্দুল্লাহ বিন মাসরুর নামে পরিচিত। প্রেসিডেন্ট নাদির শাহের সহযোগিতায় তিনি একটি বিশাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলেন। কাহিনীর ধারা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরে গিয়ে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং গুপ্তচরবৃত্তির দিকে মোড় নেয়। এই পর্বেই তার জীবনে আসে হেলেনা, যে ছিল কমিউনিস্টদের প্রশিক্ষিত এক গুপ্তচর কিন্তু ইসলামের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সে পক্ষ বদল করে এবং খোবায়েবের তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে তার মিশনে যোগ দেয়। খোবায়েব হেলেনার কাছ থেকে জানতে পারে, শত্রুরা শুধু বাইরে নয়, ঘরের ভেতরে বন্ধুবেশে আফগান সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়েও ক্ষমতার কেন্দ্রে বসে আছে। 

পঞ্চম পর্ব;
কাহিনীর শেষ পর্বে এসে খোবায়েবকে তার চূড়ান্ত পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়। বন্ধুবেশী শত্রুদের ষড়যন্ত্রে সে আফগানিস্তান থেকে অপহৃত হয় এবং তাকে বন্দী করে পাঠানো হয় মস্কোর এক কুখ্যাত কারাগারে। যখন তার বেঁচে থাকার সব আশা প্রায় শেষ, তখন অপ্রত্যাশিতভাবে এগিয়ে আসে তার ইউরোপীয় বন্ধু মিসেস জামিলিনা ও কেনিডলী, (যাদের সাথে খোবায়েবের প্রথম দেখা হয়েছিল সাইবেরিয়ার তুষারাঞ্চলের কারাগারে) যারা তাকে এক শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানের মাধ্যমে জেল থেকে মুক্ত করে। মুক্ত হয়ে খোবায়েব আবার ফিরে আসে তার চিরচেনা রণাঙ্গনে।

উপন্যাসটি শেষ হয় কোনো চূড়ান্ত বিজয় বা পরাজয় দিয়ে নয়, বরং এই বার্তা দিয়ে যে, সত্য ও মিথ্যার এই লড়াই চিরন্তন। এটি চলতেই থাকবে।

প্রধান চরিত্রগুলোঃ

  • খোবায়ে জাম্বুলী; সিরিজের প্রাণকেন্দ্র এই চরিত্রটি। একজন সাধারণ মাদ্রাসার ছাত্র থেকে তার রূপান্তর ঘটেছে এক কিংবদন্তিতুল্য কমান্ডার হিসেবে। ঈমানের প্রতি অবিচল আস্থা, প্রচণ্ড মানসিক ও শারীরিক কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা এবং নেতৃত্বদানের অসাধারণ গুণাবলী তার চরিত্রকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। ব্যক্তিগত জীবনে একাধিক সঙ্গিনীকে হারানোর ব্যথা তাকে বারবার পর্যুদস্ত করলেও, সে তার মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়নি।
  • ছায়েমা মালাকানী; এই উপন্যাসের অগ্নিশিখা। তার রণকৌশল, জ্ঞান, সাহস এবং নেতৃত্বদানের ক্ষমতা তাকে সিরিজের সবচেয়ে স্মরণীয় চরিত্রে পরিণত করেছে। তার উপস্থিতি কাহিনীকে এক ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে।
  • দ্বিতীয় স্ত্রী ছায়েমা (মেরি গমেজ); খোবায়েবের সংস্পর্শে এসে এবং তার মাধ্যমে ইসলামের সত্যতা উপলব্ধি করে মেরি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন। তার এই সিদ্ধান্তের কারণে তার নিজের পিতা, যিনি ছিলেন প্রধান পাদ্রী, তাকে বন্দী করেন। খোবায়েবের দল এক দুঃসাহসিক অভিযানের মাধ্যমে মেরীকে উদ্ধার করে। উদ্ধারের পর, মেরি ইসলাম গ্রহণের প্রতীক হিসেবে নিজের নাম পরিবর্তন করে, খোবায়েবের সব থেকে প্রিয় নাম ‘ছায়েমা’ রাখে।
  • মাহমুদা ও হেলেনা; মাহমুদা হলো ত্যাগ ও ভালোবাসার প্রতীক। তার বুদ্ধিদীপ্ত কার্যকলাপ, বিশেষ করে কাঁথার উপর পুরো রাশিয়ার মানচিত্র এঁকে দেওয়ার ঘটনাটি অসাধারণ। অন্যদিকে হেলেনা, শত্রুপক্ষ থেকে এসে আদর্শের জন্য সবকিছু ত্যাগ করার এক উজ্জ্বল উদাহরণ। তার চরিত্রটিই প্রমাণ করে যে মানুষ পরিস্থিতির শিকার, কিন্তু চাইলে সে নিজেকে পরিবর্তন করতে পারে।
সিরিজটির ভালো ও মন্দ দিকঃ
ভালো দিক;
  • মহাকাব্যিক পটভূমি; লেখকের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হলো, তিনি একটি ছোট ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক বিশাল মহাকাব্য রচনা করেছেন, যা প্রায় এক দশক এবং একাধিক দেশের ভৌগোলিক সীমানা জুড়ে বিস্তৃত।
  • গতির নেশা; সিরিজের প্রতিটি খণ্ডেই রয়েছে রুদ্ধশ্বাস গতি। প্রতিটি পাতায় পাতায় রয়েছে গেরিলা আক্রমণ, সম্মুখ সমর, কমান্ডো হামলা আর স্নায়ুক্ষয়ী উত্তেজনায় ভরা মুহূর্ত, যা আপনাকে এক মুহূর্তের জন্যও স্থির থাকতে দেবে না।
  • আদর্শিক দৃঢ়তা; এই উপন্যাস তার ঘোষিত লক্ষ্য, অর্থাৎ জিহাদের অনুপ্রেরণা জাগাতে এবং ইসলামী আদর্শের প্রচার করতে শতভাগ সফল।
কিছু সীমাবদ্ধতা;
  • কাহিনীর পুনরাবৃত্তি; কিছু ক্ষেত্রে, যেমন গুপ্তচর শনাক্তকরণ ও তাদের নির্মূল করার প্রক্রিয়াটি একাধিকবার ঘটায় কিছুটা একঘেয়েমি আসতে পারে।
  • অবিশ্বাস্য সফলতা; অনেক জায়গাতেই প্রধান চরিত্রদের সফলতা, বিশেষ করে প্রতিপক্ষের বিশাল শক্তির বিরুদ্ধে, কিছুটা অবিশ্বাস্য বা নাটকীয় মনে হতে পারে। যদিও এটি লেখকের বীরত্বগাঁথা তৈরির একটি সাধারণ কৌশল।
বইটি কেন পড়া উচিত;

যদি এমন একটি কাহিনী পড়তে চান যা আপনার শিরায় অ্যাড্রেনালিনের প্রবাহ বইয়ে দেবে, আপনার হৃদয়ে বিশ্বাসের শক্তিকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেবে এবং আত্মত্যাগের মহিমাকে ভিন্ন এক উচ্চতায় নিয়ে যাবে, তবে ‘আঁধার রাতের বন্দিনী’ আপনার জন্য অবশ্যপাঠ্য। আমি মনে করি,  এটা শুধুমাত্র একটি উপন্যাস নয়, একটি অভিজ্ঞতাও বটে। এই সিরিজের পাতায় পাতায় আপনি নিজেও একজন মুজাহিদ হয়ে উঠবেন, চরিত্রদের কষ্ট আর বিজয়ে আপনিও সমান অংশীদার হবেন। সহজ ও সরল ভাষায় লেখা এই মহাকাব্যটি আপনাকে এমন এক জগতে নিয়ে যাবে, যেখান থেকে ফিরে আসাটা আপনার জন্য কঠিন হবে।

লেখকের জীবনী;

মাওলানা আমীরুল ইসলাম একজন ইসলামী চিন্তাবিদ এবং লেখক, যিনি তার লেখনীর মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন। তার লেখনীর মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসলামী আদর্শের প্রচার এবং সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি প্রতিরোধ গড়ে তোলা, যা তার “আঁধার রাতের বন্দিনী” উপন্যাসে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
তবে সাহিত্যজীবনের বাইরেও মাওলানা আমীরুল ইসলাম নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন একটি অন্যরকম লড়াইয়ের ময়দানে। ২০০০ সালের জুলাই মাসে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে স্থাপন করা ৭৬ কেজি বোমা মামলার অন্যতম ‘পরিকল্পনাকারী’ হিসেবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এই মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে, এবং তিনি বর্তমানে সেই রায়ে কারাবন্দি অবস্থায় আছেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে জঙ্গি,  রাষ্ট্রদ্রোহী ও ভারত বিরোধী মিথ্যা মামলা রয়েছে!

উপসংহার;

সার্বিকভাবে, ‘আঁধার রাতের বন্দিনী’ বাংলা সাহিত্যে ইসলামী ভাবধারার উপন্যাসের জগতে একটি মাইলফলক। এর বিশাল প্রেক্ষাপট, গতিশীল কাহিনী এবং শক্তিশালী চরিত্রগুলো একে এক স্মরণীয় সিরিজে পরিণত করেছে, যা পাঠককে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা দিতে সক্ষম। যারা একটি আদর্শিক, রোমাঞ্চকর এবং রক্ত গরম করা মহাকাব্য পড়তে চান, তাদের সংগ্রহে এই সিরিজটি থাকা আবশ্যক।

আমার সম্পর্কে

আমি ছফওয়ান আল মুসাইব, একজন 3D আর্টিস্ট, ভিডিও এডিটর। 3D আর্টের প্রতি গভীর ভালোবাসা থেকেই আমি আমার ক্যারিয়ার শুরু করি, এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের দক্ষতা গড়ে তুলেছি। পেশাগত জীবনে সাফল্যের পাশাপাশি আমি গল্প লেখা এবং ভ্রমণে দারুণ আগ্রহী। শখের বসে মাঝে মাঝে হাতে কলম তুলে নিই এবং আমার মনের ভাবনা ও অনুভূতিগুলোকে শব্দে রূপ দিই। আমার লেখা গল্পগুলো বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে, যা অনেক পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।

জনপ্রিয় পোস্ট

সাম্প্রতিক পোস্ট